বাবার সঙ্গে ছিল তার বন্ধুর মতো সম্পর্ক। অসুস্থতায় কখনই বাবাকে একা রাখতে চাননি বেন স্টোকস। মাস কয়েক আগে তার অসুস্থতায় ‘পাগলপ্রায় হয়ে যাওয়া’ ইংলিশ অলরাউন্ডার আন্তর্জাতিক সিরিজে বড় বিরতি নিয়েছিলেন।
কিন্তু নিয়তির কি খেলা! মৃত্যুর সময় পিতার পাশে থাকতে পারলেন না স্টোকস। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ইংল্যান্ড স্কোয়াডের সঙ্গে থাকা অবস্থায়ই শুনলেন প্রিয় বাবা আর নেই। মস্তিষ্কের ক্যানসারের সঙ্গে এক বছরের মতো লড়াই করে মঙ্গলবার না ফেরার দেশে পারি জমিয়েছেন গেড স্টোকস। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
রাগবির সাবেক খেলোয়াড় এবং কোচ ছিলেন গেডস। তার মৃত্যুর খবরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের মাধ্যমে জানিয়েছে গেডসের সাবেক রাগবি দল ওয়ার্কিংটন টাউন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মস্তিষ্কের ক্যানসারে প্রথম অসুস্থ হয়েছিলেন গেড। সে সময় স্টোকস পাশে ছিলেন। গত আগস্টে বাবার ফের অসুস্থতার খবর শুনে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ রেখেই নিউজিল্যান্ডে (স্টোকসের মাতৃভূমি নিউজিল্যান্ড, বাবাও শেষ জীবন সেখানেই কাটিয়েছেন) ছুটে গিয়েছিলেন স্টোকস।
এরপর গেড স্টোকস কিছুটা সুস্থ হলে অক্টোবর মাসে আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলতে যান ইংলিশ ক্রিকেটের এই সময়ের অন্যতম সেরা তারকা। টুর্নামেন্টের মাঝপথে যোগ দেয়ার সময় ছেলেকে আশীর্বাদ করে দিয়েছিলেন বাবা।
স্টোকসের খেলোয়াড়ি জীবনে সবচেয়ে বড় প্রভাব ছিল তার বাবার। মাঠে যে কোনো মাইলফলক ছোঁয়ার পর জন্মদাতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিন আঙুলের স্যালুট দেখানোকে রীতি বানিয়ে ফেলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। প্রাণের প্রিয় সেই মানুষটিকে হারিয়ে স্বভাবতই ভীষণ ভেঙে পড়েছেন স্টোকস।
এক টুইটে স্টোকস লিখেছেন, ‘গেড, তুমি আর আমি এখন আলাদা জায়গায়। কিন্তু জানি যতবার আমি তোমার কথা ভাবব, তোমার মুখের হাসিটা আমার হাসি ফোটাবে। চিরদিনের জন্য ভালোবাসি এবং বাসব।’